ফ্রান্সে অবসর নেয়ার বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৪ বছরে উন্নীত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ফ্রান্সজুড়ে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এবং রাজধানী প্যারিসে এক লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোর্ডেক্স টাউন হল ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে সরকারি কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এর প্রতিবাদে দেশটির রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো।
মাসখানেক আগে ফ্রান্সের আইনসভায় ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নে অবসরকালীন বয়স বাড়ানোর নতুন বিল প্রস্তাব করেন। এ বিল অনুযায়ী, দেশটির কোনো নাগরিক ৬২ থেকে ৬৪ বছরের মধ্য অবসর নিতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ অবসর ভাতা (পেনশন) পেতে হলে নাগরিকদের ৪২ বছরের স্থলে ৪৩ বছর কাজ করতে হবে। ২০২৭ সাল থেকে আইনটি কার্যকর করার কথা রয়েছে।
এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে অনেক স্কুল ও সরকারি সেবা বন্ধ ছিল। প্যারিসের অরলি বিমানবন্দরে এক–পঞ্চমাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে ফ্রান্সের মতামত ও গবেষণা সংস্থা আইএফওপিয়ের সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির ৬৮ ভাগ মানুষ এই প্রস্তাবিত আইনের বিপক্ষে। এ ছাড়া দেশটির সংস্কারবাদী দলগুলোও জাতীয় সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করছে।
ফরাসি সরকারের দাবি, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অনুপাত দিন দিন কমছে। পঞ্চাশ বছর আগে একজন অবসর নিলে চারজন কাজে যোগ দিত। সেই অনুপাত বর্তমানে ১ দশমিক ৭–এ দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ