ঢাকা মহানগরের ট্রাফিক পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে উল্লেখ করে দ্রুত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রমনা থানা এলাকার নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অটোরিকশার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, যা শহরের যানজট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এসব যানবাহনকে লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।
হকার সমস্যার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এত সংখ্যক হকার হঠাৎ করে উৎখাত করা অমানবিক হবে। তবে সড়ক দখলমুক্ত রাখতে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশের প্রভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, যত্রতত্র মিছিল, মিটিং বা সমাবেশ হলে শহরে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের কার্যক্রম নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
থানায় মামলার গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, এক দিনে যদি ৫০০টি মামলাও হয় সবকটি নেয়া হবে। পরিসংখ্যানে অপরাধের সংখ্যা আগের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। কারণ সব মামলাই নেয়া হচ্ছে। সব রিপোর্টিই গ্রহণ করা হচ্ছে।
পুলিশ বাহিনীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের মনোবল ৮০ শতাংশ ফিরে এসেছে। শিগগিরই তা পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে।
চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে কমিশনার আরও বলেন, এ কারণে নিম্ন ও মধ্য বিত্ত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ২/৩ দিনের মধ্যে তালিকা ধরে গ্রেপ্তার শুরু হবে। কেউ চাঁদাবাজি করবেন না। চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ঢাকায় ছিনতাই বেড়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মোবাইল ছিনতাই বেড়েছে। রাস্তা–ঘাটে বের হলে সবাইকে সচেতন হয়ে চলাচল করতে হবে।
এসএ