নোয়াখালীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবদুল হাকিমকে (৩৫) হত্যা করতে করা হয়েছিল চার লাখ টাকা চুক্তি। ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে এ চুক্তি করেন খোদ অটোরিকশার মালিক মহিম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে হত্যার শিকার হন ওই অটোচালক।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অটোরিকশা জমা দেয়ার কথা বলে চালক হাকিমকে নিজ বাড়ি পশ্চিম চরমটুয়ার সফিগঞ্জ বাজারের পাশে ডেকে নিয়ে যান অটোরিকশার মালিক মহিম। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই বাড়িতে আগে থেকেই অবস্থান করা কামাল, রিপু, মোমেন, নুর আলমসহ অন্য আসামিরা আবদুল হাকিমকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাশের ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পাশে একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে হত্যার পর মরদেহ বস্তাবন্দি করে ওই ক্ষেতের মধ্যে মাটিচাপা দেয় তারা। পরদিন সকালে চাষিরা ক্ষেতের মধ্যে আলগা মাটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি খুঁড়ে হাকিমের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবিনা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডে ১২জন সরাসরি জড়িত ছিল। এছাড়াও চালক হাকিমকে হত্যা করতে মালিক ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে চার লাখ টাকা চুক্তি করেন বলে গ্রেফতাররা জানান। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।’
এমি/দীপ্ত