ঈদের ছুটিতে মানুষের সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুও দেশের ৫৩টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের ডেঙ্গু শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুলাই) মুগদায় ভর্তি রয়েছে ৩৫১ জন রোগী।
ঢাকার আশপাশের জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগ এবং নদীবেষ্টিত বরিশাল অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। আর এতে করে ডেঙ্গুতে এবার বেসামাল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি মাসে চট্টগ্রাম এ পর্যন্ত নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৯৫ জন। চট্টগ্রামে গত ৬ মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ১১ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫৬টি জেলায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এ বছরের জুনে গত বছরের তুলনায় রোগী বেড়েছে প্রায় ১৫ গুন। গতবছরের প্রথম ৬ মাসে যেখানে রোগী ছিলো মাত্র ৩৬ জন, এবার তা প্রায় ১৩ গুন বেড়ে দাড়িয়েছে ৪শ ৬৪ জনে।
চিকিৎসকরা জানান, আক্রান্তকে দেরি করে হাসপাতালে আনায় অনেক সময় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা মাত্রই হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মৃত্যু যাতে কম হয় চিকিৎসকরা সে চেষ্টাই করছেন। এক্ষেত্রে রোগীদেরও দায়িত্ব নিয়ে যথাসময়ে হাসপাতালে আসতে হবে।‘
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর এ দুই মাসে আক্রান্ত হন প্রায় ৭০ হাজার আর মারা যান ১০৮ জন। ২০২১ সালেও আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরই ছিল পিক টাইম। যদিও গত বছর ডেঙ্গু মাথাচাড়া দেয় অক্টোবর এবং নভেম্বরে।
আফ/দীপ্ত নিউজ