বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫
বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

চলতি বছর আগস্ট মাস থেকে দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। ফলে সম্পূর্ণভাবে দেশী পেঁয়াজে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে দেশের বাজার। সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ বেড়েছে দাম।

বুধবার (৫ নভেম্বর) হিলি স্থলবন্দর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়, আর খুচরা বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। যা গত ৩ দিন আগে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।

তিন দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

বাহাদুর বাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শম্ভু কুমার রায় বলেন, দেশীয় বাজারে সরবরাহ সংকটের কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, “আমরা মূলত নওগাঁ, পাবনা ও নাটোর থেকে পেঁয়াজ আনছি। বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষকেরা নতুন মৌসুমের বীজ বপনে ব্যস্ত, ফলে সরবরাহ কমে গেছে।

বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, “মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এতে ক্রেতারা কম কিনছেন, আর বিক্রেতারাও ক্ষতির মুখে পড়ছেন।”

খুচরা বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমরা পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে কিনে আনছি। ফলে খুচরা বিক্রিতে লাভের বদলে ক্ষতি হচ্ছে।”

ক্রেতা মমিনুল ইসলাম বলেন, “আগে ৬০ টাকায় কেজি পেতাম, এখন দিতে হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। রান্নাঘরের খরচ সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।”

গৃহিণী সুমি আক্তার বলেন, “প্রতিদিন রান্নায় পেঁয়াজ ছাড়া উপায় নেই। দাম এভাবে বাড়তে থাকলে বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।”

হিলি স্থলবন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন জানান, চলতি বছর আগস্ট থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সরকার যদি নতুন করে আমদানির অনুমতি পত্র (আইপি) প্রদান করে, তবে ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।

 

সুলতান মাহমুদ/এসএ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More