দেশের সরকারি–বেসরকারি স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে ১২ নভেম্বর। এর মধ্যে প্রথম দুই দিনে (১২–১৪ নভেম্বর) আবেদন করেছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৫১ জন ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থী।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপ–পরিচালক আজিজ উদ্দিন জানান, টেলিটক ভর্তি আবেদনের সংখ্যা আমাদের জানায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তথ্যমতে, ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৫১ জন শিক্ষার্থী ৩ লাখ ২ হাজার ৩০২টি স্কুলে ভর্তির জন্য পছন্দ দিয়েছে।
মাউশির সূত্রমতে, এবার সরকারি–বেসরকারি ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে মোট আসন আছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি। কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। মোট আসনের মধ্যে ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে আছে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি আসন। এর বিপরীতে আবেদন করেছে ৫৩ হাজার ৫৯৬ জন শিক্ষার্থী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কুল শাখা বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৫১ জন শিক্ষার্থী ৩ লাখ ২ হাজার ৩০২টি স্কুলে ভর্তির জন্য পছন্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। সরকারি স্কুলের মধ্যে ২ লাখ ১ হাজার ২৬টি স্কুল পছন্দ দিয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে ৫৩ হাজার ৫৯৬ জন শিক্ষার্থী ১ লাখ ১ হাজার ২৭৬টি স্কুল পছন্দ দিয়েছে। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি স্কুল পছন্দ দিতে পারে। এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এ বছর ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। টেলিটক সিম ব্যবহার করে এই ফি পরিশোধ করতে হবে। ডিজিটাল লটারির পর আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম ধাপে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২২–২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি চলবে এবং দ্বিতীয় ধাপের তালিকা থেকে ভর্তি চলবে ২৬–৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
https://gsa.teletalk.com.bd/ এই লিঙ্কে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবে।
এসএ