সেহরিতে দুধ খাওয়া অনেক উপকারী, তবে এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। ইফতারে দুধ বা দই খাওয়ার চেয়ে সেহরিতে দুধ বা দই খাওয়াই উত্তম। তবে ইফতারে খেলে তেমন কোন অসুবিধা নেই।
সেহরিতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা–
পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে: দুধ ধীরগতিতে হজম হয়, ফলে দীর্ঘসময় ক্ষুধা কম অনুভূত হয়। দুধে প্রচুর পানি ও ইলেকট্রোলাইট থাকে, যা শরীরের পানিশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা দুধ পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন শরীরে শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, দুধে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি রয়েছে, যা হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
ডি–হাইড্রেশনের সমস্যায় দূর করে : দুধ শরীর রি–হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগলে এক গ্লাস দুধ পান করে নিন। সুস্থ বোধ করবেন।
অ্যাসিডিটি সমস্যায় সমাধান করে : আমরা রমজানে এমন অনেক ধরণের খাবার খাই যার ফলে অ্যাসিডিটি হয় ও বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ সমাধান, প্রতিদিন দুধ পান। দুধ পাকস্থলী ঠাণ্ডা রাখে ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দূর হয়।
ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখতে : রোজায় অনেক ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দেয় নিয়মিত কম ফ্যাট যুক্ত দুধ খাওয়া উচিত, এতে ব্লাড প্রেসারের মাত্রা ঠিক থাকে।
মাংশপেশির গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে : দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা মাংশপেশির গঠনে সহায়তা করে ও মাংশপেশির আড়ষ্টতা দূর করে। রোজায় দীর্ঘক্ষণ অনাহারে থাকতে হয় সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সেহরিতে এক থেকে দুই গ্লাস দুধ পান করা খুবই উপকারী। মাংশপেশির গঠন উন্নত করতেও প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত।
দুধ যে ভাবে পান করা উচিত –
১. ঠান্ডা বা কুসুম গরম দুধ পান করা।
২. দুধের সঙ্গে খেজুর, ওটস বা সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
৩. গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থাকলে দুধের পরিবর্তে দই খেতে পারেন।
যদি আপনার দুধে সমস্যা না হয়, তবে সেহরিতে দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যকর হতে পারে!
কিছু মানুষের জন্য যে সমস্যা হতে পারে–
১. ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা থাকলে এড়িয়ে চলা ভালো– অনেকের দুধ হজম হয় না, ফলে গ্যাস্ট্রিক, পেটফাঁপা বা ডায়রিয়া হতে পারে।
২. সাধারণত কাঁচা দুধ খাওয়া উচিত নয় – পাস্তুরাইজড বা ভালোভাবে সিদ্ধ করা দুধ পান করা নিরাপদ।
৩. গরম দুধ কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক বাড়াতে পারে – বিশেষ করে যদি সঙ্গে চিনি বা অন্য ভারী খাবার থাকে।
ইএ