মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার মাচাইন গ্রামে ছয়শো বছরের পুরনো মাচাইন মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে দিন দিন মলিন হয়ে যাচ্ছে। জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মসজিদটির মূল অংশের ওপর রয়েছে তিনটি গম্বুজ। উত্তর ও দক্ষিণ পাশের গম্বুজের চেয়ে মাঝের গম্বুজটি একটু বড়।
মসজিদটির মূল অংশের ওপর রয়েছে নিখুঁত খাঁজকাটা কারুকাজ। প্রতিটি দেয়ালে প্রচুর কারুকাজ রয়েছে, যা সবার দৃষ্টি কাড়ে। জানা যায়, মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে চুন, সুরকি ও সাদা সিমেন্ট। কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে মসজিদটি।
কিন্তু মুসলিম ঐতিহ্যের চোখজুড়ানো এই শৈল্পিক স্থাপনাটি পৃষ্ঠপোষক, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে রয়েছে। ফলে মসজিদটির সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে।
বাংলার স্বাধীন সুলতানী শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো পুরাকীর্তির ত্রি–গম্বুজ বিশিষ্ট ও আকর্ষণীয় শিল্প মণ্ডিত সুপ্রাচীন মাচাইন শাহী মসজিদ। শিলালিপি অনুযায়ী মসজিদটি ১৫০১ খ্রিষ্টাব্দের শেষ ভাগে হোসেন শাহ্ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল ।
শাহী মসজিদের ইমাম হাফেজ মো: মিজানুর রহমান বলেন, “আমি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ এই শাহী মসজিদে ইমামতি করে আসছি এটা আসলে আমার সুভাগ্য ,এ জন্য মহান আল্লার কাছে লাখ কোটি শুকরিয়া। অনেক দূর দূরান্তের মুসুল্লিরাও এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন।”
মাচাইন শাহী মসজিদ কমিটির সহ–সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “মসজিদ ও মাজারটি মানিকগঞ্জ জেলার কালের সাক্ষী হয়ে আছে। এ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে আরো পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
মানিকগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ–পরিচালক হারেজ সিনহা বলেন , “আমাদের এই জেলায় প্রায় ২৪ শতাধিকের বেশী মসজিদ রয়েছে । তবে মাচাইন মসজিদটি দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসেন। মসজিদটিতে নিয়মিত নামাজ আদায়ের সকল ব্যবস্থা রয়েছে।”
জাহিদুল হক চন্দন/এফএম/দীপ্ত নিউজ