পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে পারছে না রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। পাচার হওয়া অর্থ থাকা দেশগুলোর সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে না পারা এর মূল কারণ বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। অন্য আইনজীবীরা বলছেন, অর্থ পাচার ঠেকানো এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা।
দেশ থেকে পাচারের অর্থে কানাডায় গড়ে উঠেছে বেগম পাড়া। যেখানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের বেগমরা বসবাস করছেন। এমন খবর অনেক পুরোনো। কিন্তু সেখানে সত্যিকার অর্থে কাদের বাড়িঘর রয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থাও নেয়া যায়নি। সম্প্রতি দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। লন্ডনেও প্রবাসিদের সম্পদ কেনা ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশিদের নাম। একের পর এক অর্থ পাচারের ঘটনার পরও সংস্থাগুলো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
রবিবার এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও কথা বলেন বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে। আইনজীবীরা জানান, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সদিচ্ছা থাকলে অর্থ পাচার বন্ধ এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয় আনা যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের স্বার্থে টাকা পাচার বন্ধ করতেই হবে। এজন্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।