বুধবার, অক্টোবর ১, ২০২৫
বুধবার, অক্টোবর ১, ২০২৫

রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের জন্য ৯৬ মিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন ডলার ও যুক্তরাজ্য ৩৬ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ঘোষণা করেছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায় অবিচাররের প্রসঙ্গ দিয়ে সম্মেলনের সূচনা করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আনালেনা বেয়ারবক। মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান সংকট গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি।

বেয়ারবক বলেন, ৫০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু একই ধরনের অভিজ্ঞতা বহন করছে। শুধু বাংলাদেশের কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরেই ৮ লাখ শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, ২০২৫ সালের মানবিক সহায়তা পরিকল্পনা এখনো মাত্র ১২ শতাংশ অর্থায়ন পেয়েছে। এটি সবাইকে ‘লজ্জিত’ করার মতো বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় সহায়তা বাড়াতে উপস্থিত দেশগুলোর প্রতি তিনি আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই সংকটের কেন্দ্রে রয়েছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা, যাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে, ঘরবাড়ি থেকে উৎখাত করা হয়েছে এবং আশ্রয়শিবির কিংবা নির্বাসনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে, আর অসংখ্য মানুষ মিয়ানমারের ভেতরে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

রোহিঙ্গাকর্মীদের সঙ্গে উদ্যোগে পদক্ষেপ নিতেই জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা একত্রিত হয়েছিলেন।

এ সময় প্রতিবেদন ও সংবাদ সম্মেলনে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়। যারমধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক নিয়োগ, যৌন সহিংসতা, বিমান হামলা, অনাহার আর গণবাস্তুচ্যুতি।

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার তহবিল ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করে মানবিক সংস্থাগুলো বলেছে, শরণার্থীরা অপুষ্টিতে ভুগছে এবং অনেকেই বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রাযর দিকে ঝুঁকছে।

রোহিঙ্গাদের মূল আবাসভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অবস্থা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে মানবিক সংস্থাগুলো। সেখানে সাধারণ মানুষজন সেনাবাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে বলে মন্তব্য করা হয়।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More