দেশে রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর বাড়ানো ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ফলে আগের মতোই রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন এখনও জারি হয়নি।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে, যার মধ্যে রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরুর দিকে রয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি এনবিআর শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট এবং শুল্ক বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তখন রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। অর্থাৎ, ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি শুরু থেকেই এই বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আসছিল। তারা সরকার ও এনবিআরের কাছে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায় এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচিও পালন করে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার তারা এনবিআরের আগারগাঁও অফিসের সামনে মানববন্ধনও আয়োজন করে।
এনবিআরের সদস্য (মূসক বা ভ্যাট নীতি) বেলাল হোসাইন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ এবং সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় কিছু পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানো হয়েছিল। তবে সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষ রেস্তোরাঁর খাবারের সঙ্গে জড়িত থাকায় জনস্বার্থে রেস্তোরাঁর ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি।‘
এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জেলা ও থানা পর্যায়ের অনেক মানুষের জন্য সীমিত ও মধ্যম মানের রেস্তোরাঁ খাবার সরবরাহ করে। এসব ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় রেখে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোর জন্য রেস্তোরাঁ সেবার ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এবং খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, যদি ভ্যাট বাড়ানো হতো, তবে মানসম্মত রেস্তোরাঁগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ত। তারা মনে করছেন, বাড়তি ভ্যাটের কারণে খাবারের খরচ বেড়ে যেত, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর চাপাত। এতে ভালো রেস্তোরাঁগুলোর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, অন্যদিকে যেসব রেস্তোরাঁ ভ্যাটের আওতায় ছিল না, তাদের খাবারের খরচ বাড়ত না, ফলে গ্রাহকরা সেখানে ঝুঁকতেন।