জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দেশটির রাজধানী নয়া দিল্লিতে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠক হবে নয়া দিল্লির ৭ লোককল্যাণ মার্গে, মোদির নিজ বাসভবন।
দেশটির বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে লিখেছে— হায়দ্রাবাদ হাউস অথবা সাউথ ব্লকে নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে মোদি আলাপচারিতা করবেন নিজের বাসভবন, ৭ লোককল্যাণ মার্গে। আন্তরিকতার বার্তা দিতেই এই গৃহঅভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে জি–২০ দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন। বাংলাদেশ এই জোটের সদস্য নয়। কিন্তু ভারত জি–২০–এর সভাপতিত্ব পাওয়ার পরই মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আনন্দবাজার বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত, যা দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে যখন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর বিভিন্ন উপায়ে প্রবল চাপ তৈরি করছে, তখন নয়াদিল্লিতে সফরকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও কি বৈঠক হবে হাসিনার?–এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তবে নৈশভোজে এবং সম্মেলন কক্ষে বাইডেনের সঙ্গে হাসিনার ‘দেখা হয়ে যাবে’ বলেই জানাচ্ছেন তারা।
পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বৈঠক করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গেও। ফরাসি প্রেসিডেন্ট দিল্লি থেকেই আসবেন ঢাকায়। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জি–২০ শীর্ষ বৈঠক শেষ করেই দেশে ফিরবেন।