ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মুরগির খাদ্যের মূল উপাদান– ভুট্টা ও সয়াবিনের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়ছে মুরগির মাংসের বাজারে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন উৎপাদকরা।
বাংলাদেশে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের আমিষের অন্যতম উৎস পোলট্রি মুরগির মাংস। যা থেকে আসে প্রাণিজ আমিষের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি। গত কয়েক মাসে দফায় দফায় বেড়েছে মুরগির দাম। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার পোলট্রি খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মতবিনিয়ম সভা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এসময় উৎপাদকরা জানান, মুরগির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ছোট খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। খামার বন্ধ হওয়ায় কমে গেছে বাচ্চা উৎপাদন। সম্প্রতি বাচ্চার উৎপাদন বেড়েছে। এতে কমে আসবে মুরগির দাম।
উৎপাদন বাড়াতে খামারিদের সুরক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘১৯০ টাকায় কিনে সেটা কেন ২৫০ টাকায় বিক্রি হবে, আদৌ ১৯০ টাকায় কিনছেন কিনা সেই প্রমাণপত্র থাকতে হবে। এ প্রমাণপত্র না থাকলে ওই দোকান গুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।‘
পোলট্রি খাতে কোনো কারসাজি রয়েছে কি না, গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
আফ/দীপ্ত সংবাদ