আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে করেছিলেন ৯২ রান, পরের ম্যাচে করেন ৪৯ রান। দুর্দান্ত ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। এক ইনিংসের পর আবারও হাঁকান অসাধারন হাফ সেঞ্চুরি। অল্প কিছুদিনের ভেতরই বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারের বড় ভরসার নাম হয়ে উঠে তাওহীদ হৃদয়। এবার ভারতের বিপক্ষেও ভালো কিছু করার প্রত্যয় তার কণ্ঠে। নিতে চায় ভারত বধের চ্যালেঞ্জ।
স্বপ্নের মত শুরু হয় হৃদয়ের ক্যারিয়ার। এরপর সরাসরি ডাক পায় লঙ্কা প্রিমিয়ার লীগে। সেখানেও বাজিমাত করেন হৃদয়। দুরন্ত হৃদয়ের ছুটে চলায় আস্থার জায়গায় পরিনত হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কায় সাংবাদিকদের হৃদয় বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচে প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ভালো খেলে না এটাই স্বাভাবিক। একটা–দুটা ম্যাচে রান করিনি, এর মানে একদম অফ ফর্মে চলে গেলাম, তা কিন্তু না। সবসময় চেষ্টা করি একজন ব্যাটার হিসেবে আমার দলের জন্য অবদান রাখার জন্য।’
যেহেতু আমাদের সামনে ইন্ডিয়ার সঙ্গে খেলা, ট্রাই করব ভালোভাবে শেষ করতে। যে ভুলগুলো করেছিলাম সেই ভুলগুলো যত তাড়াতাড়ি ওভার কাম করে এখান থেকে ভালো একটা রেজাল্ট নিয়ে আমরা যেতে পারি।‘
হৃদয় সাধারণত মিডল অর্ডারেই ব্যাট করে থাকেন। কিন্তু হুট করেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাকে নামানো হয় তিন নম্বরে। ভালো করতে পারেননি হৃদয়ও। ২ বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরে যান। হৃদয়ের অবশ্য বিশ্বাস, যেকোনো জায়গায় ব্যাট করার সামর্থ্য আছে তার।
ব্যাটিং অর্ডারে হৃদয় বলেন, ‘আমি এখনো চিন্তা করিনি এটা কঠিন। ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করার জন্য আমাদের দলের একটা পরিকল্পনা ছিল। আমি নিজেও প্রস্তুত ছিলাম। আমি এখনো বলছি, আমি যেকোনো জায়গার জন্য প্রস্তুত আছি। দল যদি মনে করে যে আমাকে মিডল অর্ডারে খেলাবে, ওয়ান ডাউনে খেলাবে, আমাকে স্লগে খেলাবে, আমি প্রস্তুত যেকোনো জায়গায় খেলার জন্য। ’
রানিং বিটউইন দ্য উইকেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই অনেক সাহায্য করে। কারণ, আপনি সময় বাউন্ডারি পাবেন না। যে পজিশনে খেলি, সেখানে রানিং বিটউইন দ্য উইকেট বা সিঙ্গেল খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সবসসময় আপনি বাউন্ডারি পাবেন না। যখন স্ট্রাইক রোটেশন থাকবে, তখন রানটা সচল থাকবে। এটাই চেষ্টা করি রানিং বিটউইন দ্য উইকেটে একের জায়গায় দুই, দুইয়ের জায়গায় তিন নিতে। ’
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ