ভয়াবহ খরায় বিপর্যস্ত আর্জেন্টিনার সান্টা ফে কাউন্টি। শুকিয়ে গেছে ওই এলাকার প্রায় সব পানির উৎস। ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। মারা যাচ্ছে পশু-পাখি। কমেছে দুধ ও মাংসের সরবরাহ।
আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমের কাউন্টি সান্টা ফে। পশু পালনের জন্য বিখ্যাত এই এলাকা তিন বছর খরার কবলে। এই অবস্থায় ফসল উৎপাদন দূরের কথা, গবাদিপশু বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয়রা।
বৃষ্টি না হলে ঘাস উৎপাদন হবে না। ঘাস-লতা-পাতা না-হলে, গবাদি পশুর খাবার কোথা থেকে আসবে। খাবারের অভাবে একের পর এক পশু মারা যাচ্ছে।
এক কৃষক বলেন “গ্রীষ্মকালে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটি গরু সুস্থ্য থাকার জন্য ৬০ লিটার পানি দরকার। আমি ২০ লিটার পানিও দিতে পারছি না। ফলে, রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পশু”
পুষ্টিহীনতার কারণে পশুর প্রজনন কমে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে দুধ ও মাংসের সরবরাহ।
লা রুরাল দে ভেরা ফার্ম প্রেসিডেন্ট বলেন “এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি। এরইমধ্যে আমাদের খামারে পশুর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বন্ধ হয়ে যাবে দুধ ও মাংস সরবরাহ।” আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটলে দেখতে পাবেন গরু-ছাগল-হরিণ, ক্যাপিবারা, খরগোশসহ অনেক প্রাণী মরে পড়ে আছে”
শুধু গবাদি পশুই নয়, খরায় মারা যাচ্ছে অন্যান্য পশু-পাখিও। খামারসংশ্লিষ্টরা বলছেন- এই অবস্থা চলতে থাকলে, অচিরেই ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে।