বিচার বিভাগে যে কোনো প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সারাদেশের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের দেয়া অভিভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি অভিভাষণে বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন। ১৭ পৃষ্ঠায় দেয়া অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন বিষয় ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি শ্রদ্ধার সাথে ২০২৪ সালের গণবিপ্লবে আত্মদানকারী শহিদদের স্মরণ করেন, যাঁরা জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যতদিন বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন শহিদ আবু সাঈদ, মীর মাহবুবুর রহমান মুগ্ধ, বাবার কোলে নিহত ছয় বছরের শিশু রিয়া গোপ, ওয়াসিম আকরামসহ ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের সকল শহিদকে এদেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবেন। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী অসংখ্য অকুতোভয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের পথ পরিক্রমা পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাব বাংলার ইতিহাস মূলত অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ইতিহাস। বাংলার মানুষের লালিত শাশ্বত ন্যায়বোধের চেতনা বিভিন্ন সময়ে শাসন, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিরতিহীন নানা সংগ্রামে অনুরণিত হয়েছে; যার চূড়ান্ত পরিণতিতে লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আসে কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।
আল/ দীপ্ত সংবাদ