বিশ্বের নানা প্রান্তে বাংলাদেশের মানুষের বসবাস। অনেকে বিদেশের মাটিতে ক্রীড়াঙ্গন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সেই সকল ক্রীড়াবিদরা যেন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারেন, এজন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, সকল ফেডারেশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পর পাল্টে গেছে দেশের চিত্র। তারই ধারাবাহিকতায় বদলে যাচ্ছে দেশের ক্রীড়াঙ্গণও। দেশের ফুটবল ফিরে পাচ্ছে হারানো জৌলুস। বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ফুটবল আসর, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী গায়ে জড়িয়েছেন লাল–সবুজের জার্সি।
কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত সোমও বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ক্রীড়াবিদরা যেন বাংলাদেশের হয়ে খেলেন, সেজন্য সকল ফেডারেশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের একটি নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
ফুটবলের মতো অন্য খেলাগুলোতেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদ অর্ন্তভুক্তির সুযোগ রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হলে পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, বাবা–মায়ের কাগজপত্র হালনাগাদসহ আরো অনেক বিষয়াদির আনুষ্ঠানিকতা থাকে।
প্রবাসী খেলোয়াড়দের দেশে আনতে কাগজ–পত্রের যে জটিলতা রয়েছে, সেক্ষেত্রে ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কোনো ফেডারেশন বা ক্রীড়া সংস্থা এই সংক্রান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করলে ক্রীড়া পরিষদ তাদের পাশে থাকবে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান প্রবাসী জিমন্যাস্ট জ্যাক আশিকুল ইসলামের পাসপোর্ট প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত রয়েছ ক্রীড়া পরিষদ।
ভালো মানের এবং বাংলাদেশের পক্ষে দীর্ঘদিন খেলতে পারেন এমন বংশোদ্ভুতদের সম্পৃক্ত করতে পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফলতার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের। এই পথের শুরুটা দেখিয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল‘কে প্রথম জাতীয় দলে খেলেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করছেন অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে। তার দেখানো পথ ধরে তারিক কাজী, রাহবার, কাজেম শাহ খেলছেন লাল–সবুজের জার্সিতে।
দীর্ঘ সময় পর হলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যে বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন, এটাও বা কম কিসের। এবার কথা সাথে কাজের মিলটা যতো দ্রুত সমন্বয় হবে, ততোটা এগিয়ে যাবে দেশের ক্রীড়াঙ্গন।
হাসিব/আল