নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার সময় বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে ১৬৮ জেলেকে কারাদণ্ড ও ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষায় গঠিত টাস্ক ফোর্স, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ আর জেলা প্রশাসনের অভিযান উপেক্ষা করেই চলছে ইলিশ নিধন। গত ৮ দিনের অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৪১টি মামলায় ১৬৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুই লাখ ২১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলেরা বলছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বেকার সময় পার করছেন তারা, এখন পর্যন্ত প্রণোদনার চাল পাননি। উপার্জনের অন্য কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে নদীতে নামছেন।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ১২ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৭৮৬টি অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি ২ কোটি ২ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকার, ৯ লাখ ২২ হাজার ২৮ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, ১১ আক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে। নিষেধাজ্ঞা সফল করতে পরিচালিত হচ্ছে অভিযান। এ সময়ে বরিশালের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, বরিশাল জেলায় ৮৫ হাজার নিবন্ধিত জেলে থাকলেও প্রণোদনা দেয়া হবে ৫১ হাজার ৭০০ জেলেকে।
চলমান মৌসুমে একটি পরিপূর্ণ ইলিশ, ২ লাখ ডিম্বাণু দিয়ে থাকে, যার ১০ শতাংশ বড় ইলিশে পরিণত হয়। আগামী দুই নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ২২ দিনের এ অভিযান।
এসএ/দীপ্ত নিউজ