২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যদি সাধারণ নির্বাচন না হয়, তাহলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজের নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁও–১ আসনের বড়গাঁও ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে কেকে বাড়ি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে বলেন, আপনারা কেন নির্বাচন পেছাতে চাইছেন, তা মানুষ জানে। সবাই নিশ্চিত যে আপনারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়েই নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে দল নির্বাচিত হবে, দলের হর্তাকর্তারা ঢাকায় বসে ঠিক করবেন কে এমপি হবেন। জনসাধারণ তাদের পছন্দসই মানুষকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে পারবেন না। একইসঙ্গে দল নিরপেক্ষ কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক কৃষক ন্যায্যমূল্যে সরকার থেকে সার–বীজসহ কৃষি উপকরণ পাবেন। প্রত্যেক পরিবারের মা–বোনেরা ফ্যামিলি কার্ড পাবেন, যা দিয়ে অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে তারা সরকার থেকে চাল–ডাল–তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাবেন।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বিএনপি অবহেলিত পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলে সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প নামে ৩৫০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প এনেছে, যার মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও–পঞ্চগড় পর্যন্ত রাস্তাঘাটসহ জরুরি উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি এই প্রকল্পের অধীনে বড়গাঁও ইউনিয়নে ১১ কিলোমিটার পাকা রাস্তার কাজ শুরুর কথা জানান। বিএনপি সরকার গঠন করলে এই উন্নয়ন আরও সম্প্রসারিত হবে বলে জানান তিনি।
ডা. আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন প্রমুখ।