বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে রূপ নেয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা–পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত আবহাওয়ার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাব দেশের আট উপকূলীয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ইতিমধ্যে এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। জলোচ্ছ্বাসে এসব অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন ।
আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ