সাতক্ষীরা শ্যামনগর তারানীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তারকৃত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামী সুরত আলী গাজী মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গাজীর আইনজীবী এ্যাড. মাসুদুল আলম দোহা জানান, সুরত গাজী হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। তার মরদেহ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
কালিনগর গ্রামের আশিষ কুমার গাজী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তারানীপুর গ্রামের রাজাকার আজিজ গাজী ও সুরত আলী মেম্বরের নেতৃত্বে কালিঞ্চি, হরিনগর, ধুমঘাট ও নকীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শরনার্থীকে হত্যা ও তাদের বাড়িঘর লুটপাট করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের ২৭ অক্টোবর ভেটখালি– জয়াখালি খেয়াঘাটে আজিজ ও সুরত ১০ জনেরও বেশি শরনার্থীকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে কালিনগর গ্রামের বামাচরণ মন্ডলের ছেলে সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলসহ কয়েকজন হিন্দুকে ধরে নিয়ে ধুমঘাট এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সুরেন্দ্রনাথের মেয়ে চন্দনা রাণী ওরফে টুকু রানী বাদি হয়ে ১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরা জজ আদালতে আব্দুল আজিজ ও সুরত আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলাটি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা হিসেবে বিচার শুরু হয়। এ মামলায় আব্দুল আজিজ ও সুরত আলী পলাতক ছিলেন। গত ১৪ আগষ্ট কাউন্টার টেরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানিজ ফতেমার নেতৃত্বে তাদেরকে শ্যামনগরের তারানীপুরের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে ঢাকা কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
এসএ/দীপ্ত নিউজ