বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব হারিছ চৌধুরীর মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে সাভার মডেল থানার জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মরদেহ তোলার সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ৮ অক্টোবর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি হারিছ চৌধুরী। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সিলেটের কানাইঘাটে তাঁর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান বলে জানাজানি হয়। তারপর থেকে হারিছ চৌধুরীর অবস্থান নিশ্চিত ছিল না।
২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরীও তখন জানান, তাঁর বাবা ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর চাচা আশিক চৌধুরী জানান, হারিছ ঢাকায় নয়, লন্ডনে মারা গেছেন।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ