ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে নওগাঁর টুপি তৈরির পল্লীতে। সুঁই–সুতা দিয়ে তৈরি চমৎকার এসব টুপি ব্যয়বহুল হওয়ায় এবং দেশী ক্রেতা না থাকায়, এগুলো যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জন্য নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে তৈরি করা হয় দামী ও হরেক রকম ডিজাইনের এই টুপিগুলো। নওগাঁর নারীদের হাতে তৈরি বিশেষ টুপি যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ও দুবাইয়ে। সারা বছর এই টুপি তৈরি হলেও আসন্ন রমজানের ঈদকে সামনে রেখে আবারোও ব্যস্ততা বেড়েছে টুপি তৈরির পল্লীগুলোতে।
গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে এই টুপি তৈরির কাজ বন্ধ থাকলেও চলতি বছর আবার টুপি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন টুপি তৈরির কারিগররা। শুধু গৃহিনীরাই নয় বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরাও অবসরে এই টুপি তৈরি করে বাড়তি অর্থ আয় করছে। মজুরী নগন্য হলেও সংসারের কাজের ফাঁকে এই টুপি তৈরি করে বাড়তি আয় করছেন মহিলারা।
প্রতি কারিগর দিনে ৩–৪টি টুপি তৈরি করতে পারেন। প্রতিটি টুপি তৈরি করলে ৭০–৮০টাকা মজুরি হিসেবে পান কারিগররা। এই টুপির সঙ্গে তৈরি কারিগরদের সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নওগাঁর মহাদেবপুরের চেয়ারম্যান, মো. মাহমুদুন নবী রিপন বলেন, যারা টুপি তৈরি করেন তাদের পারিশ্রমিক যদি বাড়ানো যায় তাহলে এলাকার লোকজন আরো উন্নত হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের যা যা সহযোগিতা দরকার তা দেয়ার জন্য তারা চেষ্টা করবেন ।
ক্ষুদ্র কুঠির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিসিকের পক্ষ থেকেও নানা ধরনের সুযোগ–সুবিধা প্রদান করা হয়।
উপজেলার প্রায় ৩০হাজার নারী এই টুপি তৈরীর সাথে সম্পৃক্ত। তবে এমন শিল্পকে কুঠির শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ