আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাছাড়া থাকছে না ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানী আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নবম কমিশন সভা শেষে ইসি সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়। ৪ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ‘সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে একটি, দুটি কেন্দ্র অথবা ৩০০ আসনের ফল নির্বাচন কমিশন চাইলে বাতিল করতে পারবে। এ ছাড়া ফলাফল ঘোষণার সময় সাংবাদিকরা থাকতে পারবেন।
তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইভিএম প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
‘না‘ ভোট বিধান আনা হচ্ছে উল্লেখ করে ইসি আরও বলেন, কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হবে না; বরং তাকে ‘না’ ভোটের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। যদি ‘না’ ভোট বেশি হয়, তাহলে সে আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুইজন প্রার্থী সমান ভোট পেলে লটারি না, পুনরায় ভোট হবে।
তিনি আরও বলেন, হলফনামায় দেয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে নির্বাচিত হওয়ার পরেও ৫ বছর মেয়াদ পর্যন্ত কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এমন কী এমপি পদ বাতিলও করতে পারবে ইসি।
ইসি বলেন, ‘নতুন দল নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি আবেদন পড়েছে। ৮৪ দল পুরো কাগজ দিয়েছে। এদের মধ্যে ২২টি দলকে সঠিক পাওয়া গেছে। এখন তাদের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত হবে। ৮২টি আসনে আপত্তি এসেছে সীমানা পুনর্নির্ধারনের বিষয়ে।’
উল্লেখ্র, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে ইতিহাসে প্রথমবার ভোটাররা ‘না ভোট’ প্রয়োগ করেছিল। ওই সময় জারি করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৩১(৫)(বিবি)-তে এ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিধান অনুযায়ী ব্যালট পেপারের সবশেষ প্রার্থীর স্থানে লেখা থাকে ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং ভোটারদের সহজ পরিচিতির জন্য মার্কা রাখা হয় ‘ক্রস’ (ঢ)। তখন সারা দেশে মোট প্রদত্ত ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না ভোট’ পড়েছিল।
এসএ