আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন।
গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে একবছর নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসা করতে চায় ইভ্যালি। শামীমা নাসরিন বলেছেন, ‘আমাদের দেনা পরিশোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। আগামী একবছর নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসা করতে পারলে বিনিয়োগ পাওয়া সম্ভব। প্রথম বিনিয়োগ থেকে সব দেনা পরিশোধ করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি ইভ্যালির ৪৫ লাখ ক্রেতা ও ৩০ হাজার বিক্রেতা দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত কেনাকাটা করলে সহজেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসা সম্ভব। অনেকেই হয়ত অবগত আছেন, আগে ইভ্যালিতে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমাদের সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি হলে খুব সহজেই বিনিয়োগ আসা সম্ভব হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, কিছু-কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক নীতিমালার ত্রুটিগুলো আমরা স্বীকার করে দেনা-পাওনা এবং সব পেন্ডিং অর্ডার ডেলিভারির জন্য ছয় মাস সময় চেয়েছিলাম। তবে সেই সময় পাওয়ার আগেই পাওনা পরিশোধ বিলম্ব হওয়ার অভিযোগ এবং চেক ডিজঅনার সম্পর্কিত মামলায় আমরা গ্রেপ্তার হই।
দেনা-পাওনার পূর্ণাঙ্গ হিসাব করতে ইভ্যালির সার্ভার চালু করার কথা জানিয়ে শামীমা নাসরিন বলেন, ‘আগের অর্ডার করা পণ্য ও রিফান্ডের অর্থ ফেরত দেব। এজন্য আমাদের প্রথমে সার্ভার খোলা জরুরি। সার্ভারের আইডি ও কোড একটি জটিল নম্বর। এটি মনে রাখা বা মুখস্ত করে রাখার বিষয় নয়। এ আইডিটি হারিয়ে যাওয়ায় এখন জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে অ্যামাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যদি আমাদের সাবেক এমডি রাসেল বাইরে থাকতেন তাহলে বিষয়টি সহজ হতো। কিন্তু বর্তমানে তিনি কারাগারে থাকায় পুরো প্রক্রিয়াটি জটিল রূপ ধারণ করেছে। তবে আশা করা হচ্ছে অচিরেই এটি সমাধান হবে।’