বর্ষা মৌসুমে ফেনীর গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাগুলো গর্ত ও কর্দমাক্ত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এসব রাস্তায় ছোট–বড় গাড়ি ও জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় নুর আহাম্মদ, একরামুল হক, বেলাল, আবদুল্লাহ ও সিরাজ জানান, ‘আমরা যাত্রাসিদ্দি ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমাদের এ এলাকায় ২শ পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে আমাদেরকে চলাচল করতে হয়। পুরো বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য চরম কষ্টের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পানির নিচে ডুবে থাকে, পানি সরে গেলে রাস্তা কাঁদা হয়ে যায়। ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হয়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয়, কারণ কোনো গাড়ি এ রাস্তায় ঢুকতে চায় না। সামাজিক অনুষ্ঠানাদী করা যায় না। সীমাহীন কষ্টে আছি আমরা।
তারা আরও জানায়, এ বেহাল রাস্তার বিষয়ে অনেকবার চেয়ারম্যান, মেম্বারদেরকে কাছে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এলাকার কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ফেনী–২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে আকুল আবেদন জানাই।‘
এদিকে সচেতন মহল মনে করছেন, ‘কৃষি নির্ভর গ্রামীণ রাস্তা গুলোর বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক প্রচেষ্টা না থাকায় আজ জনগণ সরকারের উন্নয়নের সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে, সুফল ভোগ করতে পারছে না। সারা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সরকারের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান। তারা এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান।‘
এ বিষয়ে কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম বলেন, ‘ইউনিয়নের মুল সড়কগুলোর উন্নয়ন হয়েছে অনেক আগেই। বর্তমানে আরো ২২টি কাঁচা রাস্তা চিহ্নিত করে নতুন আইডিতে অর্ন্তভুক্তির জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন জমা দিয়েছি। আশা করছি খুব সহসায় এসব রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু হবে।‘
আবদুল্লাহ আল–মামুন/পূর্ণিমা/দীপ্ত সংবাদ