নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বসে এসএসসি (ভোকেশনাল) বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তিন পরীক্ষার্থী। সম্প্রতি একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসএসির পরীক্ষায় অংশ নেয় তারা।
পরীক্ষায় অংশ নেয়া তিন শিক্ষার্থী হলো– নাহিদুল ইসলাম নিপুণ, রূপম প্রধান ও দিপু দেওয়ান। তারা রূপগঞ্জ উপজেলার ভারতচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখার শিক্ষার্থী। এবার মুড়াপাড়া সরকারি পাইলট মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, একটি মামলায় এবারের এসএসসির রুপগঞ্জের ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন পরীক্ষার্থী কারাগারে রয়েছে। শিক্ষক, পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে তিনজন পরিক্ষার্থী আজ এসএসসির প্রথম পরীক্ষা করাগারে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা বাকী পরীক্ষাগুলো কারাগারে থাকলে সেখানেই পরীক্ষা দিতে পারবে। সে রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার মোক্কামেল হোসেন বলেন, ২০২৪ সালের এই মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় ৩ জন এসএসসির শিক্ষার্থী কারাগারে রয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই তিনজন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মুড়াপাড়া সরকারি পাইলট মডেল হাই স্কুলের এসএসসি (ভোকেশনাল) কেন্দ্র সচিব মো. ইয়াকুব আলী বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার ফোন করে জানান কাঞ্চন ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার তিনজন পরিক্ষার্থী কারাগারে রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সীমন সরকারকে জানানো হয়।
তিনি বলেন, তার সহযোগিতায় মুড়াপাড়া সরকারি পাইলট মডেল হাই স্কুলের শিক্ষক আব্দুল মজিদ খানকে পরীক্ষার পরিদর্শক নিয়োগ দেই। পরে পরীক্ষার দিন সকাল ৭.৩০ মিনিটে সহকারী কমিশনার ভূমি সীমন সরকার, দুজন ট্যাগ অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে থানার ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র বের করে সিলগালা করে পুলিশ পাহাড়ায় নারায়ণগঞ্জ কারাগারে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায়। তারা নারায়ণগঞ্জ আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।