গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। যার কারণে কমেছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়; এজন্য তারা দুর্বল খাতগুলোর সংস্কারের পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর সাধারণ অর্থ হলো ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোনো পণ্যের মূল্য ১০০ টাকা হলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা ১০৯ টাকা ৬৭ পয়সায় কিনতে হয়েছে।
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এমন চিত্র দীর্ঘ দিনের। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেশি হওয়ায় ২০২২ সালে শহর থেকে গ্রামে ফিরে আসা মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
অর্থনীতির বিশ্লেষকদের মত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও আগে থেকেই মুদ্রানীতিতে কঠোর হওয়া প্রয়োজন ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বাজার ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতিতে সংস্কার জরুরি।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর প্রকাশিত ইকোনমিক আউটলুকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিকভাবে ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমে আসতে পারে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ