আজ ২৫শে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৬১ সালের এদিন কলকাতার জোড়াসাঁকোয় সম্ভ্রান্ত জমিদার বংশে জন্ম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
কালজয়ী এ কবি জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্ম নেন। সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় শৈশব থেকেই নানা গুণ প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ ঘটে তার জীবনে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। সংস্কৃতি জগতে অসামান্য কীর্তির জন্য তাকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেননি। গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ৮ বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তার ‘অভিলাষ’ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান–কবিতা, বাণী বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যুগিয়েছে। এ কারণে তার রচিত “জনগণমন–অধিনায়ক জয় হে” ও “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি” গান দুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।
বাংলা সাহিত্য ও উপন্যাসে এক ভিন্ন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। লেখার মাধ্যমে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন সমাজের অবিচার, অসংগতি, ভালোবাসা, অনুভূতির গভীর প্রকাশ। প্রেম ভালোবাসার সঙ্গে আধ্যাত্মিক ভালোবাসাকেও একই সুতায় গেঁথে মালা তৈরি করার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন তিনি।
তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় কিছু গান হলো আমারও পরাণও যাহা চায়, আমি চিনিগো চিনিগো তোমারে ওগো বিদেশিনি, চাঁদের হাসি বাধ ভেঙেছে, ভালোবাসি ভালোবাসি, তুমি রবে নীরবে, তোমার খোলা হাওয়া, আকাশ ভরা সূর্য তারা, আমার সকল দুঃখের প্রদ্বীপ, আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে, মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাই না, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন ইত্যাদি।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ