অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়া হলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে সতর্কতার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতই টাকা ছাপে। তবে ইচ্ছে করলেই তা করা যায় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল বিভিন্ন সম্পদের বিপরীতেই টাকা ছাপতে পারে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১৮ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা বাজারে এসেছে। তবে আগের বছরে যা ছিল ১২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে ১৪৩ গুণ সরবরাহ বেড়েছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত টাকা মূল্যস্ফীতি উস্কে দেয়, ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, ছাপানো টাকার বিভিন্ন দিক নির্ভর করে সঠিক ব্যবস্থাপনার ওপর। স্বর্ণ, রুপা, বৈদেশিক মুদ্রা, সরকারের বন্ড ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতেই মূলত বাজারে টাকা ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ‘ডলারের এসেটের বিপরীতেও টাকা ছাপানো হয়। তবে এর ইফেক্টটা অনেক দেরিতে আসবে। সুতারাং এই টাকাটা মানুষের পকেটে গিয়ে বাজারে যখন আসবে তখন খাদ্যমূল্য বাড়িয়ে দিবে এবং অন্যান্য কনজিউমার কোর্স যেগুলো ওই টাকাটা দিয়ে কেনা হবে সেগুলোর দাম বেড়ে যাবে।‘