ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে নেমে আসা পানিতে দেশের ৮ জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের আট জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যা আরও বিস্তৃত হতে পারে। ইতিমধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কাজের জন্য নগদ ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ১৫ হাজার ৯০০ মে. টন চাল ও ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর টিম ফেনীতে পৌঁছে গেছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।’
সচিব কে এম আলী রেজা বলেন, ‘সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর– পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।’
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি এই মুহূর্তে বাড়ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরি, ফেনী, হালদা নদীর পানি ৭টি স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ কারণে ওই সব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।’
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। বন্যা আক্রান্ত জেলার জেলা প্রশাসক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।
ফেনী জেলা প্রশাসকের দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৭৮ টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজার ৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।