স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও স্বীকৃতি পাননি নীলফামারী জেলার ৩৬ জন বীরাঙ্গনা। অর্ধহারে-অনাহারে কাটছে তাঁদের দিন। স্বীকৃতি আদায়ে তারা ঘুরছেন বিভিন্ন অফিসে।
নুরজাহান বেগম। বয়স সত্তরের কোটায়। কোমড়ের ব্যথা নিয়ে এক অফিস হতে আরেক অফিসে ঘুরছেন বীরঙ্গানা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আদায়ে। উপজেলা, জেলা, বিভাগ এমনকি রাজধানীর বিভিন্ন অফিসে যেতে হচ্ছে তাকে।
তাঁর মতো মোছাম্মদ আজিমা, করিমা বেগম, অজিফা বেগম, ছবিয়া খাতুন সহ আরো ৩৫ জন বীরাঙ্গনা ঘুরছেন অধিকার আদায়ে। স্বীকৃতি আদায়ের আগেই মারা গেছেন ৫ জন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর কাছে চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল তাদের। দেশ স্বাধীনের পর সবাই স্বাধীনভাবে চলাফেরা করলেও তাদের বেলায় তা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসন বলছে, বীরাঙ্গনাদের যাচাই-বাছাই শেষ পর্যায়ে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা স্বীকৃতি পাবেন।