সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের মারধরে নবম শ্রেণীর ছাত্র রাজপ্রতাপ দাস নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী নবম শ্রেণীর চার ছাত্র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেনি আদালত।
বুধবার (১৯ জুলাই) সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম রাকিবুল ইসলাম জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন খারিজ করে দেন।
আদালতে জবানবন্দি দিতে আসা সাক্ষীরা হলেন, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র জুবায়ের আহম্মেদ (১৬), মুশফিকুর রহমান (১৬), ইউসুফ হোসেন (১৬) ও আর রাফি (১৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যালয়ের তিন তলার ছাদে জুবায়ের ও তার এক সহপাঠীর জন্মদিনের কেক কাটা অনুষ্ঠানে নলতা বালিকা বিদ্যালয় থেকে কয়েক ছাত্রীকে নিয়ে এসে টিকটক করার আপত্তি না শোনায় শিক্ষকের হাতে প্রহৃত হয়েছেন জুবায়ের, মুশফিকুর, আর রাফি, ই্উসুফ ও রাজপ্রতাপ। সে দিন দুপুর একটা ৪০ মিনিটে রাজপ্রতাপ মারা যায়।
এ ঘটনায় জুবায়ের বুধবার ১০টা ৪৬ মিনিটে ও মুশফিকুর মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল কবীর।
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার জানান, রাজপ্রতাপ দাশ হত্যা মামলায় সাক্ষীদের বয়স কম, তাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই এমন কথা বলে তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমানের ১৬৪ ধারায় সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন বিচারক রাকিবুল ইসলাম খারিজ করে দেন।
অবকাশ খাঁ ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম জানান যে, বিষপানে রাজপ্রতাপের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রাজপ্রতাপের বাবা দীনোবন্ধু দাশ বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম, সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুহিত, সহকারি শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, অবকাশ কুমার খাঁ ও সিদ্ধার্থ রায় চ্যেধুরীর নাম উল্লেখ করে ১৭ জুলাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মনিরুল ইসলামসহ ব্যতীত চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
শায়লা/ দীপ্ত নিউজ