রবিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৫
রবিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৫

৪ ঘন্টা পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ঢাকাবরিশাল মহাসড়কে একাধিক গাছ কেটে ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন দলটির কর্মীরা। এময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায় বিক্ষোভকারীরা।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) ৬ টা থেকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর এলাকায় এ অবরোধ শুরু হয়।

এতে মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ, স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে শাটডাউন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক এবং কালকিনি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার।এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা এবং তারা ইউনুস সরকারের বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোর থেকে গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে করাত ও দেশীয় যন্ত্র দিয়ে ১০ থেকে ১২টি গাছ কেটে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখেন তাঁরা।

মহাসড়কে একটি ভ্যান এনে সেটিকে মঞ্চের মতো সাজিয়ে বক্তব্য দেন মীর গোলাম ফারুক ও এনায়েত হোসেন হাওলাদার। বক্তব্যে তাঁরা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফাঁসি দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। কর্মসূচি সফল করায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।

এসময় সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁরা সরে যান।পরে সকাল ১ সাড়ে ১০ টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মাদারীপুরোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি নিজে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কাটাগাছগুলো অপসারণ করেছি। ।আওয়ামী লীগের লোকজন একাধিক বড় গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে রাখেন। গাছগুলো অপসারণে সময় বেশি লেগেছে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

রফিকুল ইসলাম

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More