আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিনামূল্যে ভিজিএফর খাদ্য শস্যের চাল বিতরণ চলছে।
তবে ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও ১ কেজি কমিয়ে ৯ কেজি করে বিতরণ করছিলো ঠাকুরগাঁও পৌরসভা।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় গিয়ে ১০ কেজির স্থলে ৯ কেজি চাল বিতরণের চিত্র দেখা যায়। ১ কেজি কম দেয়ার বিষয়ে জনতে চাইলে তারা জানান, “এই এক কেজি চালের হিসাব বহুদূর যায়।“
ভিজিএফ সুবিধাভোগী রোকসানা পারভিন বলেন, আমারা অসহায় মানুষ। সরকার আমাদের জন্যে কিছু চালের ব্যবস্থা করে দিছে, সেখানেও এরা দুর্নীতি করতেছে। এদের বিচার হওয়া উচিৎ।
আরেক ভিজিএফ কার্ডধারী সাজেদার চাল মাপলে পাওয়া যায়, ৯ কেজি ৯শ গ্রাম চাল। তিনি বলেন, আমরাতো কিছু বলতে পারিনা । তারা যা দেয় নিয়ে যাই, শুরু থেকেই তারা এমন ভাবেই সবাইকে চাল দিচ্ছে। এক এক কেজি চাল কেনো কম দেয়া হচ্ছে সেটা তারা বলছেনা।
এসময় ঘটনাস্থলে মেয়র উপস্থিত হবার পরে বেশ কিছু ভুক্তভোগী কার্ডধারী ও অভিযোগকারীদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মেয়র বন্যা।
এই ১ কেজি চাল যাচ্ছে কোথায়, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় মেয়ার আঞ্জুমান আরা বন্যাকে। তবে এই ১ কেজি চালের হিসাব তিনি দিতে পারেনি। সাথে সাথেই ভিজিএফের চাল বিতরণ কতৃপক্ষকে সঠিকভাবে ১০ কেজি করে চাল মেপে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি বলেন, ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ শুনে দ্রুত পৌরসভায় ছুটে আসি। পরে ১০ কেজি পুরন করে তালিকাভুক্তদের চাল বিতরণ করা হয় বলে দাবি তার।
হিমেল / আল / দীপ্ত সংবাদ