দেশের সর্বত্তোরের জেলা পঞ্চগড়ে নামছে তাপমাত্রার পারদ। দিনে ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও দিনভর বইছে ঠান্ডা বাতাস। মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে দেখা মিলছে শিশিরের ছোঁয়া।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বাতাসের আদ্রাতা ছিল ৬৭ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের সর্বচ্চো তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
এক মোটরসাইকেল চালক জানান, দিনে রোদের তীব্রতা থাকলেও বিকেলের পর বাইক চালালে ঠান্ডা লাগে। সন্ধ্যার পর মোটা কাপড় পরিধান ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোই যায়না। ভালোই ঠান্ডা লাগে।
ইজিবাইক চালকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালালেও সামনের রাস্তা দেখা যায় না। আজকে কিছুটা কুয়াশা কম থাকলেও তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছিল। এখন সকালে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শেষের দিকে শৈতপ্রবাহের দেখা মিলতে পারে। সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকবে চারপাশ। কোথাও কোথাও দিনের বেলাও কুয়াশা দেখা যেতে পারে। কারণ বাতাসে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প রয়েছে। এর ফলে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে ঠিকভাবে পৌঁছায় না, ফলে রাতে দ্রুত ঠান্ডা পড়ে এবং ভোরে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। নভেম্বরের শেষ দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরপর ডিসেম্বর জুড়ে পঞ্চগড় ও আশপাশের এলাকায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
গোফরান বিপ্লব/এজে/দীপ্ত সংবাদ