বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্য সঞ্জয় রাউত। তিনি একইসঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
মুম্বাই পুলিশের তথ্যমতে, বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ একজন বাংলাদেশি। এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) এমন মন্তব্য করেন শিবসেনার এই এমপি। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘ভারত থেকে সব বাংলাদেশিকে বের করে দেয়া উচিত, আর এটি শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনাকে দিয়ে। তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে, যা আমাদের দেশের জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের আগে এই বিষয়গুলো সামনে আনা হচ্ছে। যখনই আমরা পার্লামেন্টে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই, বিজেপি আমাদের থামিয়ে দেয়।‘
শিবসেনার এই এমপি আরও দাবি করেন, সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকে বিজেপি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে তুলে ধরছে, যা জনগণকে বিভ্রান্ত করার একটি অপকৌশল। তিনি বলেন, ‘একজন অভিনেতার ওপর হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কী প্রমাণ আছে? যদি হামলাকারী সত্যিই বাংলাদেশি হন, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারই এর জন্য দায়ী।‘
১৬ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের বাসায় ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ বাংলাদেশের ঝালকাঠির বাসিন্দা। চুরির উদ্দেশ্যে সাইফ আলি খানের বাসায় প্রবেশ করার পর তার উপস্থিতি টের পেয়ে শেহজাদ তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় সাইফ গুরুতর আহত হন, বিশেষ করে তার ঘাড় ও মেরুদণ্ডে আঘাত লাগে। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।
পুলিশের দেয়া বিবৃতি অনুযায়ী, হামলাকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সঞ্জয় রাউতের দাবি, বিজেপি নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে এসব ইস্যু সামনে আনছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা আগে সাইফ আলি খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছে, তারাই এখন তাদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন।‘