মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫

হাসপাতালে ভর্তির একদিনেই মধ্যেই অর্ধেকের বেশি ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

চলতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে যারা মারা গেছেন, তাদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘রোগীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। খারাপ অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে বাড়িয়ে দিচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।’

ডা. আবু জাফর বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হলে কমতে পারে মৃত্যুর হার।’

সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক বলেন, গত কয়েক দিনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমনটা দেখা যায়। গত বছর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুন মাসে মারা যান ৮ জন, জুলাই মাসে ১৪ জন, আগস্ট মাসে ৩০ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে মারা যান ৮৭ জন। সে বছর জুন মাসে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ৭৯৮ জন, জুলাই মাসে ২,৬৬৯, আগস্ট মাসে ৬,৫২১ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ১,৮৯৭ জন। এ পরিসংখ্যান দেখে বলা যায়, সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুও ঘটেছে বেশি।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে এবং আমরা যে ব্যবস্থাপনা নিচ্ছি, সেটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণকে সচেতন এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা। কারণ, যত ব্যবস্থাপনাই নেওয়া হোক না কেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর মতো সংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।’

সাংবাদিকেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই রোগ যদি শুরুতেই চিহ্নিত করা না যায়, সময়মতো চিকিৎসা শুরু না হয়, তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনারা যেভাবে অতীতে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, আশা করি মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবেন।’

অধ্যাপক জাফর বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তে ব্যবহৃত এনএস১–কিট সব জায়গায় রয়েছে এবং পর্যাপ্ত মজুদ আছে। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পরিচালক এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

 

এসএ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More