মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডকে ‘তামাশার জায়গা’ আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ফেডারেল গবেষণা চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ এপ্রিল) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘হার্ভার্ড এখন আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য নয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ঘৃণা ও বোকামি শেখানো হয়। এটা যেন একটি রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চ, যেখানে স্বাধীন চিন্তাকে দমন করা হয়। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কোনোভাবে ফেডারেল অর্থায়ন পাওয়া উচিত নয়।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবার (IRS) কাছে হার্ভার্ডের কর–মুক্ত মর্যাদা বাতিলের আনুষ্ঠানিক সুপারিশ পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থনৈতিক সুবিধা ও স্বায়ত্তশাসনের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হার্ভার্ডের ভর্তি প্রক্রিয়া, শিক্ষক নিয়োগ ও রাজনৈতিক অবস্থান বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। তবে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত স্বাধীনতা নিয়ে কোনো আপস হবে না।’
হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তার সাংবিধানিক অধিকার ও একাডেমিক স্বাধীনতা নিয়ে কোনো আলোচনা বা দর–কষাকষি করবে না।’
ট্রাম্পের এই অবস্থানে মার্কিন শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কলাম্বিয়া ও স্ট্যানফোর্ডসহ কিছু প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু প্রস্তাব বিবেচনায় নিলেও হার্ভার্ড এখনো কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড থেকে এখন পর্যন্ত ১৬২ জন নোবেল বিজয়ী শিক্ষক, গবেষক বা প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।