ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, হাদিকে নয়, তার আদর্শ, বিশ্বাস ও সংগ্রামকেই হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ঢাবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে শহীদ ওসমান হাদির দাফন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সন্তানকে বুকে নিয়েছে। মা তার সন্তানকে আবার ফেরত পেয়েছে। আমরা তার (ওসমান হাদি) জন্য দোয়া রাখি।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানটি কেবল একটি দাফনস্থল নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর একটি প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, এখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি রয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একাধিক সন্তানও এখানে শায়িত আছেন। এই স্থানে শহীদ হাদিকে দাফনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সন্তানের প্রতি সম্মান জানিয়েছে।
ড. নিয়াজ আহমে খান বলেন, শরীফ ওসমান হাদি একটি ব্যক্তির নাম নয়, এটি একটি আদর্শের নাম। এই আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়বে এবং কোনো হত্যাকাণ্ড দিয়ে একে থামিয়ে দেওয়া যাবে না। এই হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ অপরাধ নয়। এটি ন্যায়, স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার পক্ষে দাঁড়ানো একটি কণ্ঠকে স্তব্ধ করার চেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালের পর আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের অংশ হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে হাদির আত্মত্যাগ ও আদর্শকে স্মরণীয় করে রাখবে।
এসএ