আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এটি শুধু এক সরকারের পক্ষে সম্ভব না।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত ৮টায় দেরা দুবাইস্থ রেডিসন ব্লু হোটেলে আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের করণীয়‘ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি আরো বলেন, স্মার্ট নাগরিক ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্ঞান–বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে–বিদেশে নাগরিকদের স্মার্ট করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আমিরাতে থাকা জনতা ব্যাংকের ৪টি শাখা থেকে যারা ঋণ খেলাপি হয়ে বিলাস জীবন যাপন করছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৮৫ সালে আরব আমিরাতে দক্ষ অদক্ষ শ্রমিকের যে রকম চাহিদা ছিল এখন আর সেইরকম চাহিদা নেই। দেশটি এখন অনেক উন্নত। তাদের এখন অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন নেই। তাই বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিকদেকে এই দেশটিতে আসার আহ্বান ও জানান।
আলহাজ্ব ইয়াকুব সৈনিকের সভাপতিত্বে ও মাহবুব হাসান হ্নদয় ও তিশা সেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর।
টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন দুবাই নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসী গণমাধ্যম কর্মীদের আয়োজিত গোলটেবিলের আয়োজন সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আবদুস সালাম, তিনি বলেন, দেশে প্রবাসিদের জীবনমান উন্নয়নে ১৫০টির বেশি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। প্রবাসীদের বীমার আওতায় এনেছে সরকার। ১০ লাখ টাকা বীমায় পাচ্ছেন প্রবাসীরা।
আলোচনায় অংশ নেন মোহাম্মদ রাজা মল্লিক, সিআইপি শেখ ফরিদ আহমেদ, ইসমাঈল গণি চৌধুরী, সাইফুদ্দিন আহমদ, সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, নাসির তালুকদার,সওকত আকবর, মোজাহের উল্লাহ মিয়া, সেলিম রেজা, নেসার রেজা খান,আবুল কাশেম, সিআইপি শিমুল মোস্তফা, মোহাম্মদ মনসুর সবুর,সাংবাদিক সিরাজুল হক, ফয়সাল সিদ্দিকী ববি, লুৎফুর রহমান, আবদুল মান্নান সহ বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গগণ।
সিআইপি শেখ ফরিদ আহমেদ বলেছেন, রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে সরকার ২.৫ % প্রণোদনা দেন। কিন্তু সরকার যদি চার পারসেন্ট দেন তাহলে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে উৎসাহিত হবেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াকুব সৈনিক বলেছেন, মতপার্থক্য কখনো ভালো দিক না। তাই যে যেই সংগঠন করুক না কেন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত।
মাহাবুব হাসান হৃদয়/শায়লা/দীপ্ত নিউজ