এবারো সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের সদর উপজেলাসহ ছয়টি উপজেলায় ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে দিনাজপুরের শহরের চারুবাবুর মোড়ের পার্টি সেন্টারে ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন দিনাজপুর শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ। ঈদ জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ২৫০ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
ঈদ জামায়াতের ইমামতি করেন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এ ছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইলে, বিরল উপজেলার পশ্চিম বনগাঁ জামে মসজিদ ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে ২২টি গ্রামের কয়েকশ মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।
দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়ের পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে খুতবায় একই দিন ঈদ ও কুরবানি করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একইদিনে ঈদ ও কুরবানির করার আহ্বান জানান।
ঈদ জামায়াতে অংশ নেয়া কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরও ও কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।
মো. আব্দুল মান্নান নামে একজন মুসল্লি জানান, প্রথমে আগাম ঈদ নামাজ পড়ার বিরোধিতা করেছি। পরে কুরআন ও হাদিস পড়ে যখন জানতে পারলাম যে এটিই সঠিক; তখন থেকে ঈদ জামায়াতে শরিক হয়েছি।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে ২০০৭ সাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২৫০ জনে পৌঁছেছে।