গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযানকে আটক করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। নৌবহরে থাকা বিভিন্ন দেশের ৪৪টি নৌযান অংশ নিয়েছিল। সেখান থেকে ৪৩টি নৌযান আটকের খবর প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা বা আইনসম্মত নৌ–অবরোধ লঙ্ঘন করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘সব যাত্রী নিরাপদে ও সুস্থ আছেন। তাদেরকে নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।’
মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, ‘আরেকটি জাহাজ রয়েছে। সেই জাহাজ যদি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও আটক করা হবে।’
ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় মোট নৌযান ছিল ৪৪টি।
ইসরায়েলের নৌবাহিনী কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান আটক করে। বাকিগুলো বৃহস্পতিবার আটক করে তারা। যেসব নৌযান আটক করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সুইডেনের জলবায়ু ও অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বিখ্যাত অনেকে রয়েছেন।
প্রথম দফায় আটক নৌযানগুলো আজ স্থানীয় সময় দুপুরের মধ্যে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। বন্দরটি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। ইসরায়েল জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের প্রক্রিয়া শেষে উড়োজাহাজে করে ইউরোপে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।