সন্ধ্যার পর থেকেই হাওয়া শীতল হাওয়া। রাত নয়টার দিক থেকে শুরু আকাশে বিদ্যুতের চমক। অবশেষে রাত ১০টার দিকে নামলো ঝুম বৃষ্টি। ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ তখন মাথা বাঁচাতে এদিক ওদিক আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি। প্রশান্তি ছড়িয়ে দেওয়া বৃষ্টি এবার হয়ে হয়ে গেল অস্বস্তির কারণ। তারপরও দীর্ঘ দাপদাহের পর বৃষ্টি স্বস্তি ছড়াল পুরো সিলেট নগর জুড়ে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নগরে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১৭ দিনের তীব্র দাপদাহের পর বৃষ্টি নগরবাসীকে স্বস্তির পরশ দিলেও ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া মানুষকে কিছুটা ভোগান্তিতে ফেলে। এ সময় পথচারীদের হুড়োহুড়ি করে আশপাশের ভবনে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। ঈদ উৎসবের বাকি আছে হাতেগোনা কয়টা দিন। তাই বৃষ্টি কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও তা উৎসবপ্রেমীদের আটকে রাখতে পারেনি। অনেকেই মাতলেন বৃষতি উৎসবে।
এর আগে গত সোমবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জে বৃষ্টি হয়। সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে শুরু হয় এই বৃষ্টি। রাত ১০টার দিকে শুরু হয়েছে শিলাবৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে রাতে সিলেটে বৃষ্টি হওয়ার জোর সম্ভাবনা থাকলেও ওইদিন বৃষ্টি হয়নি।
এর আগে সোমবার সকালের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল দেশের তিন বিভাগের দু–এক জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। বিভাগগুলো ছিল বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের ডিউটিরত কর্মকর্তা জানান, রাত ১০টা ২০ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। চলে ১১টা ৮ মিনিট পর্যন্ত। এসময় ১৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। রাতে আর বৃষ্টিপাত হবে কিনা বলা যাচ্ছে না। তবে বৃহস্পতিবারও (২০ এপ্রিল) সিলেটে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আফ/দীপ্ত সংবাদ