সিলেটে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে রাত–দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মিলিয়ে ৮–১০ ঘণ্টাও বিদ্যৎ পাচ্ছেন না মহানগরবাসী। এতে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত পাশাপাশি নিদারুণ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। বিঘ্ন ঘটছে অফিস–আদালতের কার্যক্রমেও।
এদিকে সিলেট মহানগর ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)। আর সিলেটের গ্রামাঞ্চলসহ কিছু শহরতলি এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে সিলেট মহানগর ও শহরতলির প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিলেটে চাহিদার অর্ধেকের চেয়েও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার (১৫ এপ্রিল) সিলেটে পিডিবির সবগুলো ডিভিশনের চাহিদার মধ্য থেকে ৪২ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। ঘাটতি ছিলো ৫৮ ভাগ। যে কারণে শনিবার সকাল থেকেই সিলেট মহানগরের সব এলাকায় ছিলো চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
একদিকে রমজান, অন্যদিকে প্রচণ্ড দাপদাহ। এমন নাভিশ্বাস পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই সিলেটে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইফতারের সময় যেমন বিদ্যুৎ চলে যায় তেমনি রাতে সেহেরির সময়ও বিদ্যুৎ নেই। দিন রাত মিলিয়ে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না সিলেটবাসী। এতে চরম ভোগান্তির চরম শিখরে আছেন সিলেটের মানুষ।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান সচিব মো. আব্দুস সালাম জানান রবিবার অফিসের প্রথম দিন, স্বাভাবিক ভাবে চাপ ও বেশি। কিন্তু বিদ্যুতের এই বিভ্রাটের কারণে অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটছে। সেই সাথে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ শিল্পী ও কুশলীদের। সালাম জানান একসময় বেতারের নিজস্ব একটি ট্রান্সফররমার ছিল এখন সেটাও নেই। বেতারের বিদ্যুৎ লাইন পাব্লিক লাইনের সাথে যুক্ত হওয়ার ফলে লোড শেডিং এর খপ্পড়ে পড়ে ব্যাঘাত ঘটছে অনুষ্ঠান নির্মাণ, শিল্পীদের চেক প্রদান সহ গুরত্বপূর্ণ কাজে। তিনি জানান দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। দিন রাত মিলিয়ে প্রায় ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বঞ্চিত তারা।
নগরের উপশহরে বেসরকারী আইটি কোম্পানির কর্মকর্তা হামিম রহমান জানান বিদ্যুৎ ভোগান্তির ফলে প্রভাব পড়ছে ইন্টারনেটে। বারবার বিদ্যুৎ যাওয়ায় ইন্টারনেট ধীরগতি হয়ে যাচ্ছে। অনেক রাউটারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি কাজ গতীহীন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য জনগণকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে বিপনিবিতান গুলোতে বেশুমার আলোকসজ্জ্বা বিদ্যুৎ ঘাটনির অন্যতম কারণ বলে তিনি মনে করেন। তিনি এ বিষয়টি দেখার কেউ নেই উল্লেখ করে বলেন আলোকসজ্জ্বা না থাকলেও কেনাকাটায় কোন প্রভাব পড়তো না।
উল্লেখ্য খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, শনিবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ইন্টারনেট সেবাদতা প্রতিষ্ঠান আম্বার আইটি সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় ৮ঘন্টা ইন্টারনেট সবরাহ বন্ধ রাখে। যা তাদের হটলাইনে কথা বললে স্বীকার করেন দায়ীত্বশীল কর্মকর্তা।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ