সিরাজগঞ্জে বন্ধুদের হাতে নিহত চাঞ্চল্যকর সুমাইয়া খাতুন ওরফে নাসরিন হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি মোঃ রোমান ওরফে নোমানকে (২৫) আটক করেছে র্যাব–১২ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব–১২ এর সদর দপ্তর থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
এর আগে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার আশুলিয়া থানার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রোমান সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মোহনপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জলের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা যায়, ভিকটিম মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন ওরফে নাসরিন এর পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার কারণে দুই বছর যাবৎ বাবার বাড়িতে বসবাস করতেছিলেন। পরবর্তীতে মোঃ রোমান ওরফে নোমানের সাথে সুমাইয়া খাতুনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই কারণে মোঃ রোমান ওরফে নোমান মাঝে মধ্যেই সুমাইয়া খাতুন ওরফে নাসরিনকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যেতেন। গত বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) রাতে আকাশ নামে এক বন্ধুর ফাঁকা বাড়িতে বান্ধবী নাসরিনকে নিয়ে গিয়েছিল রোমান। সঙ্গে ছিল রোমানের আরও ৩/৪ জন বন্ধু। শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) ভোরে রোমান ওরফে নোমান তার বন্ধুদের সহযোগিতায় সুমাইয়া খাতুন ওরফে নাসরিনকে অচেতন অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর মর্গের সামনে মরদেহ ফেলে রেখে রোমান সুমাইয়ার বাবাকে মোবাইল ফোনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সংবাদ জানিয়ে পালিয়ে যায় ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার সুমাইয়া খাতুন ওরফে নাসরিন (১৯) শহরের পৌর এলাকার মাছুমপুর মধ্য–পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা বাস শ্রমিক নাসির উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী রোমানকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ