সাভারের আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তৃতীয় দিনে সড়কে টায়ার ও কাঠের টুকরো জ্বালিয়ে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোয়ায় ৭–৮ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে সড়কে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এতে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে সাভারে আশুলিয়ার জামগড়া ৬ তলা এলাকার আব্দুল্লাহপুর–বাইপাইল সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হন শ্রমিকেরা। পরে তাঁরা সড়কের উপর টায়ার ও কাঠের টুকরো জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ওই এলাকায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিক্ষুব্ধ শ্রমিদের হ্যান্ড মাইক দিয়ে সড়ক থেকে সরে যেতে বলেন। শ্রমিকেরা নির্দেশ না মেনে অবস্থান অব্যাহত রাখেন। পরে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কয়েকটি স্থানে পুলিশকে লক্ষ্য করে শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
সকাল ১০ টা পর্যন্ত দফায় দফায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ইটপাটকেল ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। দুপুর পর্যন্ত বাইপাইল–আবদুল্লাহপুর সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিলো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে শিল্পাঞ্চল পুলিশ–১, বিজিবি, র্যাব, ঢাকা জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
এদিকে বেলা ১১ টার দিকে নবীনগর–চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ীর উভয়পাশে গাছের ডাল পালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সকাল ৯ টার দিকে জামগড়া ৬তলা এলাকায় পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে আহত এক ব্যক্তিকে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে দেখা যায়।
শ্রমিক আন্দোলনের কারণে বেলা ১২ টার দিকে আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষনা করা হয়।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মো. আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, শ্রমিকদের দাবি থাকতেই পারে। সে দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে যাথাযথ কতৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা আলাপ আলোচনা করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সড়কে নেমে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ, ভাংচুর করবেন এটা ঠিক নয়। এছাড়া যেসকল কারখানার শ্রমিক তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন সেসকল কারখানায় হামলা করছেন তাঁরা। একটি মহলের ইন্ধনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এধরণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ