বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের এমন অবস্থা বিরাজ করছে যে, সাধারণ মানুষ এ পবিত্র রমজান মাস, ইবাদতের মাস, সংযমের মাস সঠিকভাবে পালন করতে পারছে না। আজ প্রতিটি জিনিসের দাম এমনভাবে বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তারা ঠিকমতো খেতে পারছে না। সেহরি–ইফতার করার মতো সামর্থ্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী নেতাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, রমজানের খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়ায় ইফতার করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনেকেই সেভাবে ইফতার ও সেহরি করতে পারছেন না।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশে অশান্তি বিরাজ করছে। দেশে মানুষ নিরাপত্তা পাচ্ছে না। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার কেড়ে নিয়েছে।’
যারা লেখালেখি করেন, সাংবাদিকতা করেন তাদের লেখার স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘আজ মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। লেখার স্বাধীনতা নেই। একটি অঘোষিত সেন্সরশিপ লেখক–সাংবাদিকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যার ফলে প্রকৃত সত্য উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
র্যাবের একের পর এক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ফখরুল বলেন, র্যাব নওগাঁতে এক নারী অফিস সহকারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা গেছে। ডাক্তারের রিপোর্ট বলছে, তার মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য তিনি মারা গেছেন। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুতরাং র্যাব আবারও একজন অসহায় মানুষকে মেরে ফেলেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্র।
তিনি বলেন, চারদিকে তাকিয়ে দেখুন, বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ দুর্নীতি, অনিয়ম, নির্যাতন, হত্যা, খুন, মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে একটা ভয়ের সংস্কৃতি, ত্রাসের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পবিত্র রমজানে বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী নেতাদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ