ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন নকশার শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত টাঙ্গাইলের তাঁতীরা। টাঙ্গাইল শাড়ির রাজধানী নামে পরিচিত পাথরাইল। এখানে দিন রাত খুটখাট শব্দে চলছে তাঁত। রকমারি নকশার শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত এই পল্লীর তাঁতীরা। বাহারি নকশার সাথে আছে রঙের বৈচিত্র্য। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে পাইকারী ও খুচরা বাজারে।
এর মধ্যে বিশেষ করে সাড়া ফেলেছে টিসু জামদানি। সূক্ষ কাজ নজর কাটছে ক্রেতাদের। এছাড়া ঈদে নতুন আকর্ষণ মাসলাইন কটন ও তন্তুজ সিল্ক। আরও আছে মসলিন জামদানি, টিসু জামদানি, তসর সিল্ক ও বালুচুরি।
এক তাঁতী বলেন, ‘আমরা ঈদকে সামনে রেখে নিত্যনতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করছি।‘
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারী ও খুচরা ক্রেতারা ভিড় করছেন পাথরাইলে। সুতার দাম বাড়ায় এবার শাড়ির দাম তুলনামূলক বেশি।
ক্রেতারা জানান, দেশি তাঁতের শাড়ির জন্য টাঙ্গাইলের পাথরাইলই সেরা। দামটা অন্যান্যদের থেকে এরা অনেক রিজেনেবল রাখে। এখানে আমরা বিভিন্ন ধরণের শাড়ি দেখতে পারি।
গেল তিন বছরের ক্ষতি কাটিয়ে এবার শাড়ি শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
টাঙ্গাইলের মনে মন্টুর শাড়ির মালিক মনে মন্টু বসাক বলেন, বেশিরভাগ সুতাই দ্রব্যমূল্যের দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে আমরা বিপাকে আছি।
টাঙ্গাইল শাড়ি উৎপাদক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বলেন, প্রতিবছরের তুলনায় এবার আমরা বেশি উৎপাদন করেছি, বাজারজাত করেছি।
তারা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আর প্রণোদনা পেলে এসব শাড়ি বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
আফ/দীপ্ত সংবাদ