টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হতে লিটন দাসের দরকার ছিলো ১৯ রান।
চলমান এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচের আগে এমন এক সমীকরণের সামনে দাড়িয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই তানজিদ তামিমের উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে সাইফ হাসান এবং লিটন দাসের ৫৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
এই ৫৯ রানের জুটির মধ্যে লিটন দাসের অবদান ছিল ১৬ বলে ২৩ রানের। এই ২৩ রান করতে গিয়েই ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেললেন বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। পেছনে ফেলে দিলেন এক সময়ের বিশ্বসেরা অলআউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।
টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০০৬ সালে অভিষেক হওয়ার পর ১২৯ ম্যাচের ১২৭ ইনিংসে ২৩ দশমিক ১৯ গড় এবং ১২১ দশমিক ১৮ স্ট্রাইক রেটে ২ হাজার ৫৫১ রান করেছেন তিনি।
এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন লিটন। ১১৩ ম্যাচে লিটনের সংগ্রহ ছিলো ১১১ ইনিংসে ২ হাজার ৫২৪ রান। ২০১৫ সালে টি–টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া লিটনের গড় ২৩ দশমিক ৮৯ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৬ দশমিক ৪৬।
সম্প্রতি সাকিবকে টপকে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ হাফ–সেঞ্চুরির মালিক হন লিটন। সাকিবের ১৩ হাফ–সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙ্গেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটনের অর্ধশতক ১৫টি।
এছাড়াও চলতি এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক হন লিটন। এক্ষেত্রে সাবেক ব্যাটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে পেছনে ফেলেন তিনি। ১৪১ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর ছক্কা ৭৭টি। ১১৩ ম্যাচে লিটন ছক্কা মেরেছেন ৭৮টি।